ডক্টর মেয়ে VS সায়েন্টিস্ট ছেলে - Details
← সব বই দেখুন
ডক্টর মেয়ে VS সায়েন্টিস্ট ছেলে
গল্পটি পড়তে ক্লিক করুন
লেখক: Farvez Hosen Akash
ক্যাটাগরি: Literature
আপলোড তারিখ: July 19, 2025, 6:34 pm

বইয়ের কন্টেন্ট

#ডক্টর_মেয়ে_VS_সায়েন্টিস্ট_ছেলে

লেখকঃ #farvez_hosen_akash

পর্ব: ০১

৫ বছর পর জেল থেকে বের হয়। এই ৫ টা বছরে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। জেল থেকে বের হলে একটা মেয়ে আকাশের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, এখন হয় তো ভাবছেন, সে মেয়েটা কেহ হতে পারে, আসলে এই মেয়েটা আকাশের বন্ধু হয় নাম নীলাশা চৌধুরী। জেল থেকে বের হওয়ার পরেই,,,

নীলাশা: কিরেহ কেমন কাঁটলো দিন কাল?

আকাশ: জেলের ভিতরে কি, কারো দিনকাল ভালো যায়?

নীলাশা: এখন চল বাসায় যাই আমরা।

আকাশ: তা আঙ্কেল আন্টি ও কি বাসায়।

নীলাশা: হ্যাঁ, এখন চল আমার সাথে।

নীলাশার সাথে বাসায় আসে। এসে নীলাশার বাবা মাকে সালাম করতে থাকে।

আকাশ: আঙ্কেল আন্টি কেমন আছেন?

আন্টি: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, তা আসতে কোন অসুবিধা হয় নি তো?

আকাশ: নাহ আন্টি৷

আঙ্কেল: আকাশ তুমি তাহলে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নাও,,

আকাশ: জি আঙ্কেল,,,

এই দিকে আকাশ ফ্রেশ হয়ে ৫ বছর আগের কথা গুলো ভাবতে থাকে।। এই ৫ বছর যদিও মোটেও খারাপ যায় নি, তাও কোন কিছু না ভেবে বসে আছে৷ রাতে খাবারের সময়ে ওনারা কথা বলতে থাকে৷ তখন,,,

আঙ্কেল: আকাশ তোমাকে একবার আমাদের এখানকার বেস্ট হসপিটাল যেতে হবে৷

আকাশ: ওখানে কিছু হয়েছে??

আঙ্কেল: একটা ক্রেসের ব্যাপারে তোমার সাহায্য লাগবে ওনাদের৷

আকাশ: ঠিকানা দিন, আমি তাহলে চলে যাবো।

আঙ্কেল: এই নাও ঠিকানা৷।

নীলাশা: আব্বু, আমি ও যাবো আকাশের সাথে।

আঙ্কেল: তুই এসে কি করবি?

নীলাশা: আকাশ কি করছে, না করছে এই গুলো দেখবো।

আঙ্কেল: ঠিক আছে যেও তাহলে,,,

পরের দিন আকাশ আর নীলাশা বেরিয়ে পড়ে সে হসপিটালের দিকে৷ হসপিটালের ভিতরে ওরা ডুকতে যাবে, তখনই,,,,

ডক্টর: আপনি পারভেজ হোসেন আকাশ,

আকাশ: হ্যাঁ, কিন্তু আপনি আমাকে চিনেন কি করে?

ডক্টর: সে সব পরে বলবো, এখন চলুন আমার সাথে।

ডক্টর ওদের নিয়ে একটা রুমে আসে৷ রুমের মধ্যে অনেক গুলো লোক ছিলো৷ সেখানে অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীরা ছিলে। ওনাদের সাথে বসে আছে একটা রুমে। আকাশের সাথে নীলাশা ও ছিলো।

আকাশ: আমাকে এখানে হঠাৎ ডেকে আনার কারণ?

ডক্টর: ওনারা একটা জিনিস বানাবে, সে বিষয়ে আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চায়।

আকাশ: কি বানাবেন?

রকি: দেখুন, আমরা তাহলে কাজের কথায় আসি। আমরা এমন একটা জিনিস আবিষ্কার করতে চাচ্ছি, যে আবিস্কার মানুষের অনেক উপকার আসবে।

আকাশ: তাহলে তো ভালো কথা। তা কি বানাবেন, আর আমি আপনাদের কি ভাবে সাহায্য করতে পারি?

রকি: আমরা আপনার ব্যাপারে জেনেছি, আপনি এরকম একটা জিনিস আবিষ্কার করতে চেয়েছেন কিন্তু সময় আর ডলারের অভাবে, সে কাজ করে নিতে পারছেন না। তাই আমার টিম আপনাকে সে সময়, সাথে আপনাকে কোন ডলার খরচ করতে হবে না। সব কিছু আমরা খরচ করবো।

আকাশ: এটা তো ভালো কথা। তা আমি আপনাদের জন্য এত কিছু করবো, তার বিনিময়ে আমার কি পাবো?

রকি: তার বিনিময়ে আমরা আপনাকে ১,০০০ মিনিয়ন ডলার দিবো।

আকাশ: এতো গুলো ডলার দিবেন, কিন্তু আপনারা এটা আবার খারাপ কোন কাজে ব্যবহার করবেন না তো?

রকি: নাহ স্যার, খারাপ কাজে কেনো ব্যবহার করবো।

আকাশ: আমার কিছু শর্ত আছে, সে শর্ত গুলো আমি আপনাদের কাছে একটা কাগজে লিখে দিবো। সে সব শর্তে যদি আপনারা রাজি থাকেন, তাহলে আমি আপনাদের সাহায্য করবো৷

রকি: জি বলুন, কি কি শর্ত?

আকাশ: ১ম শর্ত- যে জিনিসটা বানাবেন, সেখানে যেহেতু সব কিছুই আমার থাকবে, সেহেতু আমার নামের উপরেই ওই জিনিসটা আপনারা চালাবেন। মানে প্রোডাক্ট আপনাদের হবে শুধু নামটা আমার থাকবে।

রকি: ঠিক আছে, যা বলেছেন সে শর্তে আমি রাজি।

আকাশ: ২য় নাম্বার শর্ত হলো,, আমার অনুমতি ছাড়া যে প্রোডাক্টটা বানাবেন, সে প্রোডাক্ট এর দাম কোন ভাবেই বাড়ানো যাবে না।

এই কথাটা শুনে রকির মুখটা মলিন হয়ে গেলো। এরপর কিছুক্ষণ ভেবে,,,

রকি: ঠিক আছে রাজি আমি।

আকাশ: তাহলে আমি আপনাদের সাহায্য করবো। সেজন্য আমি কিছু লিস্ট দিচ্ছি, ১ মাসের মধ্যে এই সব কিছু আপনারা যোগাড় করতে থাকুন, যোগাড় হয়ে গেলে আমাকে জানিয়ে দিবেন, আমি কাজ শুরু করে দিবো৷ তবে একটা কথা, এই সব জিনিস তাহলে বাহিরের দেশ থেকে আনিয়ে নিবেন। যদি কোনটায় বুঝতে অসুবিধা হয়, আমাকে জানিয়ে দিবেন।

রকি: জি তাই হবে৷

এরপর ওরা বাকি formalities গুলো ঠিক করে নেয়। এই দিকে নীলাশা তো অবাক হয়ে যায়৷ কেনো না এত গুলো কোটি ডলার আকাশকে ওনারা দিবে সেজন্য,, ওখান থেকে বের হয়ে আসে৷ এখন হয় তো অনেকে ভাববেন, একটা ছেলে ৫ বছর পরে জেল থেকে বের হয়েছে, বের হয়ে সে একজন scientist হয়ে গেলো৷ আসলে আপনাদের তো পুরো গল্পটা এখনো বলা হয় নি, যখন পুরো গল্প আপনারা শুনতে থাকবেন, তখনই সবটা বুঝতে পারবেন৷ কেনো না ধরেই একটা ছেলে তো scientist হয়ে যাায় না৷ এরপর পিছনে আরো অনেক অতিত আছে, যা আপনারা যত সামনে যাবেন বুঝতে পারবেন। একটু পরে নীলাশা আর আকাশ গাড়িতে এসে বসে,,,

নীলাশা: আচ্ছা ওরাা কি জিনিস আবিষ্কার করতে চাইছে৷।

আকাশ: তোকে যদি বলি, তুই কি বুুঝবি?

নীলাশা: না বুঝার কি আছে?

আকাশ: তুই পড়েছিস LAW নিয়ে, তুই সাইন্স এর কি বুঝবি?

নীলাশা: কিহ এত বড় অপমান আমাকে করলি তুই?

আকাশ: তোর মান থাকলে তো তোকে অপমান করবো। এখন চল আমরা আগে কোন রেস্টুরেন্টে থেকে খেয়ে আসি,,,

নীলাশা: এত তাড়াতাড়ি তোর ক্ষীদে পেয়ে গেলো?

আকাশ: হুম পেয়েছে ক্ষিদে।

নীলাশা: আচ্ছা শুন, কাল আমার সাথে তোকে ভার্সিটিতে যেতে হবে।

আকাশ: ভার্সিটিতে কেনো?

নীলাশা: তুই আয় তারপরেই বুঝতে পারবি।

এরপর ওরা রেস্টুরেন্টে আসে, ওখানে খাবার খেয়ে চলে আসে বাসায়। বাসায় এসে নীলাশা ওর বাাবা মাকে সবটা বলতে থাকে। ওনারা তো সবটা শুনে অনেক খুশি হয়৷

আন্টি: তাহলে আকাশ কবে থেকে কাজ শুরু করবে?

আকাশ: আন্টি এই তো ১ মাস পরেই৷

আঙ্কেল: তাহলে এই ১ মাসে কি করবে?

আকাশ: ভাবছিলাম আমি আগে যেখানে থাকতাম, ওখান থেকে একটু ঘুরে আসবো।

নীলাশা: তোর কি মাথা খারাপ৷ ৫ বছর ধরে তুই ওখানে চিলি না৷ সেখানে ওই মেয়ে আজো সেখানে আছে কি না, সেটাই তো জানি না।

আকাশ: আমি কি একবার ও বলেছি, আমি ওই মেয়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি?

নীলাশা: তাহলে কেনো যাবি?

আঙ্কেল : সেটাই তো আকাশ, তাহলে ওখানে যাওয়ার প্রয়োজন কি? তাছাড়া তোমার সিকিউরিটি ও তো ব্যবস্থা করতে হবে৷

আকাশ: সিকিউরিটি লাগবে না, আমি অনেকটা সাধারণ ভাবেই যাবো ওখানে৷
নীলাশা তুই ও চল আমার সাথে।

নীলাশা: তা না হয় গেলাম। কিন্তু ওই মেয়েকে দেখলে, তুই কিন্তু একদম কথা বলবি না।

আকাশ: তোর কি মনে হয়, ওহ এই বছর ধরে ওই কলেজে পড়ে থাকবে নাকি?

নীলাশা: থাকতেও তো পারে!

আকাশ: সেটা কি ভাবে?

নীলাশা: কেনো না ওই কলেজের পাশেই তো ভার্সিটি।

আকাশ: সে সব আমি জানি৷ কিন্তু এত বছর ধরে ওরা সেখানে থাকবে, তা তো বলাই মুশকিল। তাছাড়া এত অপবাদ দেওয়ার পরেও, ওরা এখানে কিভাবে থাকবে,,,

নীলাশা: সে সব তো আমি জানি না।

আঙ্কেল: তোমরা এখন কথা থামাও৷ আকাশ তুমি তাহলে যেও, তবে কোন খারাপ পরিস্থিতি দেখলে আমাকে জানিয়ে দিও৷ আমি সবটা দেখে নিবো। তাছাড়া আমাকে এখন যেতে হবে কোর্টে।

আকাশ: জি আঙ্কেল আসুন তাহলে,,,,

নীলাশার বাবাা তো বেরিয়ে পড়ে৷ একটু পরে আকাশ আর নীলাশাা ওদের রুমে চলে আসে৷ তবে আপনাদের বলতে ভুলে গেছি, নীলাশার বাবা পেশায় একজন,,